আমি মানুষের খোঁজে পথে নেমেছি
হাত পেয়েছি, পা পেয়েছি, মগজহীন মাথা পেয়েছি
ক্ষুধার্ত হায়নাদের দিক বেদিক ছুটাছুটি দেখেছি
হুক্কাহুয়া আওয়াজ শুনেছি তীব্রভাবে।

মাঠের সোনালি ধানের পাশে সূর্য অবনত দেখিনি।
ঘাসে শিশির কণা মুক্ত দেখিনি।
ঝিঁঝিঁ পোকার বিরতিহীন আহ্বান শুনিনি।
সৃষ্টির জন্য প্রকৃতির আঁকড়ে ধরা নিঃস্বার্থ প্রেম দেখিনি।
রক্তের নেশায় মিছিলের স্লোগান, ভেসে আসে বার বার,
অন্ধদের দৃষ্টি কি অমানবিক ঘৃণায় বিষাক্ত হয়ে আছে।
সবাই যেন নিজেকে উলঙ্গ করে, শ্রেষ্ঠ বানানোর চেষ্টায় আছে।
যে শিশু আজ জন্ম নিয়েছে, বা কাল জন্ম নেবে
তার খাদ্য কি?
সুস্থ সাবলীল বেড়ে উঠার উৎস কি?
বিশুদ্ধ বাতাস নয়, তাকে কি আমরা বারুদের নিঃশ্বাস উপহার দেব!
খাদ্য হিসেবে রুচিহীন কন্টেন্ট দেব!
তার শিক্ষায় কি, শেকল বাঁধা বক্তব্য জাহির করব?
আমি দেখতে পাইনি মানুষ মানুষের জন্য কাঁদতে,
আমি দেখেছি আড়ালের সাহসী সৈনিক প্রকাশ্যে কতটা নতজানু,
সুরক্ষা বলয়ের বাহিরে কত সহজে বধির হওয়া যায়।
ছায়া বিহীন কলম, পেন্সিলে রূপ নেয়।
বসন্তের কোকিল এখন খরা গ্রীষ্মে কি মায়াবি মধুর সুরেলা।
আমি দেখিনা এখন সকাল; দুপুরকে ডাকতে,
বিকেল গোধুলিকে মেলাতে
সন্ধ্যার জোনাকি মাঝরাতে জ্যোৎস্না স্নান করতে।
আমি…
আমার জন্য তোমাকে দেখিনি
তোমার জন্য আমাকেও দেখিনি।